গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলার ৮নং তোয়াকুল ইউনিয়নের ফুলতৈলছগ্রামের গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গৃহবধূ জাহানারার স্বামী বাশির আলী, শ্বাশুড়ি ফরিদুন নেছা ও দেবর কয়ছর আলী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ফুলতৈলছগ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে বাশির আলী দুই বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও (খুরুমখলা) গ্রামের মৃত বাবরু মিয়ার মেয়ে জাহানারা বেগমকে বিয়ে করেন। কিছুদিন আগে সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জাহানারার সাথে তার শ্বাশুড়ি, দেবর ও ননদের ঝগড়া চলছিল। গত বুধবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বুধবার দিবাগত রাতে জাহানারার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর জাহানারার স্বামী বাশির আলী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জাহানারা বেগম প্রেসারের রোগী ছিলেন। প্রায় সময় তার খিঁচুনি ওঠতো। গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তার খিঁচুনি ওঠে। তার অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা একজন গ্রাম্য ডাক্তারকে ডেকে আনি। তিনি এসে পরীক্ষা করে জাহানারাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে জাহানারার পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
খবর পেয়ে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রজি উল্লাহ, এসআই সোলায়মান ও এএসআই আব্দুল হাকিমসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহানারার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় জাহানারার ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল জানান, জাহানারার মৃত্যু রহস্যজনক। তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।