পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এর পরিবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ক্ষমতায় ছিল তখন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মুক্তিযোদ্ধারা আজ সম্মানিত হচ্ছেন। ৩০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। আরও অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। চাকরী ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা সুযোগ পাচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে তাকে গার্ড অব অনার করে সম্মাননা করা হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন বলেন মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের সম্মান আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা তা করে যাচ্ছেন। আজ সকল মুক্তিযোদ্ধারা অনেক গর্বিত। এর থেকে কি চাওয়া পাওয়ার আছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সৃ-দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে পূনরায় নির্বাচিত করতে হবে। দীর্ঘ ২১ বছর পর জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনরায়ে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। শেখ হাসিনার দায়িত্ব গ্রহনের পর আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও তথ্য যোগাযোগ ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের দ্বার প্রান্তে। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক সমাজ, কমলগঞ্জ এর আয়োজনে “বঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক” সেমিনার ও শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. জুয়েল আহমদ এর সভাপতিত্বে ও আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত আলী ও মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় নেতা মিনহাজুর রহমান, মো. খালেকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মজুমদার, আব্দুল গফ্ফার, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার লিলি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদার, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া, কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, আব্দুল মছব্বির, সাংবাদিক আব্দুল হান্নান (চিনু), মুক্তিযোদ্ধা মাসুক মিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক নেতা আব্দুল মালিক বাবুল, কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল, মুক্তিযোদ্ধা সুলেমান মিয়া প্রমুখ। সেমিনারের শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।