ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খতমে নবুওয়াত মাদরাসা দখলের উদ্দেশ্যে কাদিয়ানী সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরিহ ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অন্তর্জাতিক তাহাফুজে খতমে নব্যুয়ত বাংলাদেশ সিলেটের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১৫ জানুয়ারি বুধবার বাদ আসর সিলেট নগরীর বন্দবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিটি পয়েন্টে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অন্তর্জাতিক তাহাফুজে খতমে নব্যুয়ত বাংলাদেশ সিলেটের সভাপতি মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ির সভাপতিত্বে ও মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় কাদিয়ানীদের হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদরাসার ছাত্রদেরকে রক্তাক্ত করে চরম ধৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখিয়াছে কাফের কাদিয়ানীরা। বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত নিয়ে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। আমাদের আন্দোলনে কখনো কোন ধরনে বিশৃঙ্খলা ভাংচুর হয়নি। কাফের কাদিয়ানীরা বিনা উস্কানীতে কওমী মাদরাসার নিরিহ ছাত্র ও আলেমদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বক্তারা বলেন, ৯৫% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে গুটিকয়েক কাদিয়ানী মাদরাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশ জুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকেই এর দায়ভার বহন করতে হবে।
বক্তারা বলেন কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে তাই তারা কাফের৷ মুসলিম নাম ধারণ করে ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে তাদের ঈমানবিধ্বংসী কোনো কার্যক্রম চলতে পারেনা।
বিশ্বনবী (সা.) এর রিসালতকে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী অমুসলিমদের আস্ফালন এদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না। আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত ও বিশ্বনবীর ইজ্জত সম্মান রক্ষায় প্রয়োজনে এ দেশের লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা আতাউর রহমান, হাফিজ ফখরুজ্জামান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা আহমদ কবির, আলহাজ্ব এমরান আলম, মুফতি রশীদ আহমদ, মাওলানা কাওছার আলী, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, লোকমান হেকিম, মাওলানা মোতাহির আলী, হাফিজ জাহেদ আহমদ, আবু হানিফ সাদী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি