হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দাস হত্যার দায় স্বীকার করেছে ঘাতক আজিম হোসেন খান ওরফে সোহাগ। সুদের পাওনা টাকার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন তিনি।
রবিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহত ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দাস একজন সুদের ব্যবসায়ী ছিলেন। খুনি রুবেলের কাছে তিনি ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পেতেন। আর এ পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে হত্যাকাণ্ড।
এসপি আরো জানান, স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুনের ঘটনায় রুবেলসহ ৫ জন জড়িত ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এর আগে শনিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় জবানবন্দিমূলক স্বীকারোক্তি দেন তিনি। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোহাগকে ৪ দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। ঘাতক সোহাগ শহরতলীর ভাদৈ গ্রামের রানা মেইকারের ছেলে এবং বেবিস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী।
আদালতের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, সোহাগ এবং ৪ জন ভাড়াটে খুনি ২৬ জুলাই রাত ৯টা ৫০ মিনিটে একটি মাইক্রোবাসে করে গৌরাঙ্গ দাসকে অপহরণ করে নিয়ে আখাউড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে গৌরাঙ্গ দাস চিৎকার শুরু করলে ঘাতকরা তার মুখমণ্ডল স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ গুমের উদ্দেশে চুনারুঘাট বাজার সংলগ্ন খোয়াই নদীর স্টিলের ব্রিজের কাছে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রাতে ওই এলাকার সোমা স্টোরের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ লাল দাস চৌধুরী নিখোঁজ হন। পরে গত ২৮ জুলাই চুনারুঘাট খোয়াই নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই অ্যাডভোকেট রাজ গোপাল দাস চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআই এর কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়।