ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগে যেমন চক্রান্তকারীদের স্থান নেই, তেমনি সুবিধাভোগীদেরও কোন ঠাঁই নেই। যারা আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা ভোগ করে চলেছে দল তাদের চিহ্নিত করে বিহীত ব্যবস্থা নেবে। সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালে সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা কতিপয় অবৈধ সুবিধাভোগী ও চক্রান্তকারীদের প্রতি ইঙ্গি করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কোন মহল ও গোষ্ঠির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তার ডাকে ও আদর্শে সাড়া দিয়ে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কোন ব্যক্তি বা মহলের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু জাতির শত্র“ মিরজাফর ও কুচক্রিরা তাকে বেঁচে থাকতে দেয়নি। চক্রন্তকারী বিপদগামী সেনা সদস্যরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আমাদের এ বিজয় ও স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে সর্বক্ষেত্রে ঘরের শত্র“দের সম্পর্কে তৃনমূল নেতাকর্মীদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আমজাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়ার পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছির, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল হক, নাসরিন জাহান ফাতেমা, জেলা পরিষদের সদস্য তামান্না আক্তার হেনা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মোঃ নুরুল আমীন ও এডভোকেট আজমল আলী, গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক তৃনমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও এমপি ইমরানের একসময়ের অতি ঘনিষ্ট পরিচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের পদত্যাগী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদিন ও তার সহোদর এবং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলোচিত পাথর শামীম কে দেখা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় জনতা ও নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতাকর্মী মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘদিন পর উপজেলা আওয়ামীলীগ কলংক মুক্ত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি