বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে অগ্নিদগ্ধ নারী চম্পা বেগম (৪০) মারা গেছেন। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রহিমপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক ফারুক মিয়ার স্ত্রী। গতকাল রবিবার সকাল ৬টারদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে রাজু মিয়া। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চম্পা বেগম ও তার মেয়ে রিফা বেগমকে (১৯) ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এদিকে টানা চারদিনেও সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা পিতা-পুত্র ৪জনের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাদেরকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল শনিবার রাতে ফারুক মিয়া, তার ছেলে এমাদ মিয়া, এমরান মিয়া ও মিজান মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার ভোররাতে বিশ্বনাথের রহিমপুরের নিজ বসতঘরে কৃষক ফারুক মিয়া, স্ত্রী-শিশুপুত্র ও কন্যাসহ একই পরিবারের ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হন। পরে ওইদিন ভোরে অগ্নিদগ্ধ ফারুক মিয়া, তার স্ত্রী চম্পা বেগম, মেয়ে রিফা বেগম, ছেলে এমাদ মিয়া, এমরান মিয়া, ও মিজান মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্যে মা-চম্পা বেগম ও মেয়ে-রিফা বেগমকে ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু সিলেট ও ঢাকা মেডিকেলে টানা চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা যান তিনি।