ইমাম-মুয়াজ্জিমদের নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দেশে কয়েক লক্ষাধিক মসজিদ বিদ্যমান থাকলেও এবং কোটি কোটি মুসল্লিয়ান ওই সব মসজিদের ইমামদের পেছনে কাতারবন্দি হয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করা সত্ত্বেও অদ্যবদি ইমাম, মুয়াজ্জিনদের মনোনয়ন ও নিয়োগ পদ্ধতিতে কোন নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। এটি সর্বজন বিদিত যে, এ দেশের বুকে প্রতিষ্ঠিত সকল মসজিদ প্রতিষ্ঠার আইনগত ভিত্তি আছে। প্রত্যেকটি মসজিদই ওয়াক্ফ অথবা দানকৃত সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আবার অধিকাংশই ওয়াকফ্ প্রজ্ঞাপনের নিবন্ধিত। অন্যদিকে প্রত্যেকটি মসজিদই স্ব স্ব এলাকার মুরুব্বি মুসল্লিয়ানগণের দ্বারা গঠিত পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে মনোনতি করেন এবং তাদের সম্মানীয় ভাতাও প্রদান করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আর্থসামাজিক পরিবর্তনের কারণে আমাদের মন-মানসিকতার ব্যাপক পরবর্তন হলেও আমরা যাদের পেছনে নামাজ আদায় করি তাদের মনোনয়ন ও নিয়োগ পদ্ধতিতে এখনও মান্দাতার আমলের রীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের দায়িত্ব পালনে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর অনেক সময় নির্ভরশীল বা মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। কখনও কখনও এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রতীয়মান হয় যে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোনো প্রভাবশালী সদস্য বা সদস্যদের সাথে অনেক সময় অযৌক্তিক কারনেও মত পার্থক্য দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ইমাম সাহেব বা মুয়াজ্জিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয় না। এমতাবস্থায় সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে লক্ষ লক্ষ মুয়াজ্জিনদের মনোনয়নের ব্যাপারে এবং উনাদাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে অবিলম্বে একটি পূর্ণ যুগোপযোগি ও বাস্তবধর্মী নীতিমালা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণয়ন করা বর্তমান যুগের দাবি।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবে। একই সঙ্গে দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্সের মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তার দাবি যৌক্তিকভাবে পূরণের আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি