কাজিরবাজার ডেস্ক :
জনশক্তি রফতানির সময় কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রম অভিবাসনের নামে মানব পাচার প্রতিরোধে এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার। এই প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
সভায় সুদান, লিবিয়া ও মিসরসহ কয়েকটি দেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে ভিসা যাচাই-বাছাইয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ভিজিট ভিসার নামে বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের জন্য থেকে যাওয়া (বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ) অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনেরও কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. নমিতা হালদার বলেন, অভিবাসনের নামে কোন কর্মী যেন পাচার না হয় সে বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও দফতর ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতর-সংস্থার কর্মকর্তাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। কাজের ভিসার ক্ষেত্রে যাচাই বাছাইয়ের যতগুলো ধাপ রয়েছে প্রত্যেকটি ধাপই অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। লিবিয়া ও সুদানে মানব পাচার চক্র গড়ে ওঠার খবরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত এ সভায় সকলকে স্ব স্ব স্থান থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
শ্রম অভিবাসনের নামে মানব পাচার প্রতিরোধ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, বোয়েসেল, ডিআইজি (এসবি) এবং এস এস ইমিগ্রেশনসহ বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।