সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন ॥ বাংলার নারী সমাজ শেখ হাসিনার সরকারকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে চায়

149

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী কে সভাপতি, এডভোকেট রীতা বেগম, রওশন সিদ্দিকা, নাসিমা চৌধুরী এলি, রওশন আরা বেগম পুতুল সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সহধর্মীনি হুসনা হুদা কে সাধারণ সম্পাদক, কনিজ রেহনুমা রব্বানী ভাষা, ছাদিয়া বখত সুরভি, সেলিনা বেগম যুগ্ম সম্পাদক, এডভোকেট নাগিবা সুলতানা, মাজেদা আক্তার, ফারহানা ইমা, সালমা আক্তারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ৩১ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৯১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ মোট ১৩ জনের নাম ঘোষণা করেন। অন্যান্য পদগুলো অবিলম্বে পূরনার্থে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য নেতৃবৃন্দ জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন। জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শিরীন রোকশানা, শিখা চক্রবর্তী, কামরুন্নেছা মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা জামান শেলী, শেখ আনারকলি পুতুল, সুরাইয়া বেগম ইভা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নীলিমা আক্তার লিলি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম বিনতে হুসাইন কেয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সীমা করিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিরিন বেগম ও রেবেকা সুলতানাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বিকেল ৩টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আফতাব উদ্দিন।
সম্মেলনকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মহিলারা শহরে ছুটে আসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভানেত্রী সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পাওয়ার আশা করে না। ত্যাগ স্বীকার করতে জানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মীদের বেশি মূল্যায়ন করেন। কত সরকার এসেছে কিন্তু কোন সরকার শেখ হাসিনার মতো দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেনি। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে নারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীবান্ধব সরকার। যতবারই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই নারীদেরকে উপযুক্ত মূল্যায়ন করে নারীকে তার যোগ্যতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এখন নারী শুধু প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেত্রীই নয় সংসদের স্পীকার থেকে শুরু করে সরকার ও প্রশাসনের সকল স্তরে নারীদেরকে পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই নারীদেরকে ঘরে জিম্মি করাসহ সকল প্রকার ন্যায়সঙ্গত সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। তাই বাংলার নারী সমাজ নারী জাগরনের অগ্রদূত শেখ হাসিনার সরকারকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে চায়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম কৃক বলেন,দীর্ঘ ২২ বছর পর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সম্মেলন হচ্ছে এটা একদিকে যেমন আনন্দের তেমনি নেতৃত্বের ব্যর্থতার। তিনি বলেন, নেত্রীরা কমিটি নিয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। গ্রামেগঞ্জে সকল মা বোন ও কন্যাদের কাছে তাদেরকে যেতে হবে। ৯১ জনের জেলা কমিটির সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠণ করতে হবে। তিনি বলেন,একা একা কেউ নেতা হতে পারেনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি সকলকে নিয়ে সংগঠণ জোরদার করার নীতি। সংগঠন আছে বলেই আপনি নেত্রী আছেন সংগঠন না থাকলে আপনিও থাকবেন না। মনে রাখবেন পদ পদবীকে যতই আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেননা কেন কোন পদই কারো দীর্ঘস্থায়ী নয় কিন্তু সংগঠন সবসময় আছে এবং থাকবে। বক্তারা একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভী রহমানসহ সকল শহীদানদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আজীবন এদেশের মানুষের জন্য শুধু ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন। বুকের তাজা রক্ত ও স্বপরিবারে জীবন বিসর্জন দিয়ে তারা প্রমাণ করেছেন এদেশের দু:খী মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনে গরীব দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোসহ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদেরকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।