ওসমানীনগর সংবাদদাতা
ওসমানীনগরে রিকশা চালক ব্রজেন্দ্র হত্যাকন্ডে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৪ ও ১৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ওসমানীনগরে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে গোলজার আলী (২৭) একই গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭)। গতকাল রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্রজেন্দ্র খুনের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই বছর ধরে ব্যাটারী চালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের লাল কৈলাশ গ্রামের রাজেন্দ্র শব্দকরের ছেলে ব্রজেন্দ্র শব্দকর (৬০)। তার রিকশার দিকে নজর পরে একই উপজেলার শিপন মিয়া ও গোলজার আলীর। গত ৪ মে রিকশাটি ছিনতাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্রজেন্দ্র শব্দকরকে কৌশলে বেশি টাকা ভাড়া দিবে বলে তার রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাবার কথা বলে তাজপুর বাজার থেকে বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নের প্রথম পাশা কবরস্থান সংলগ্ন কেওয়ালী পুলের পাশে রাস্তায় নিয়ে যায়। বৃদ্ধ ব্রজেন্দ্র রাতে চোঁখে কম দেখেন। গুলজার আলী অটোরিকশা চালানোতে পারদর্শী থাকায় এবং তারা পূর্ব পরিচিত হওয়ায় পথিমধ্যে গুলজার নিজে রিকশা চালিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছার পর ব্রজেন্দ্র শব্দকর নেমে রাস্তার দক্ষিণ পাশে গেল ঘাতক শিপন পিছন দিক থেকে সাথে নেয়া লোহার হাতুরি দিয়ে ব্রজেন্দ্রের মাথায় ৩-৪টি আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে নিছে ফেলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরিটি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তীতে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। পরে রিকশা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিক্রি করে টাকা দুজনে ভাগ করে নেয়। পরে গত ৫ মে ব্রজেন্দ্র শব্দকরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে ব্রজেন্দ্রের মাথার পিছনে ৫টি আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ পাওয়া যায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর রবিবার (৭ মে) নিহতের স্ত্রী অনি শব্দকর ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অভিযান চালিয়ে শিপন মিয়া ও গোলজার আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল আমিন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চত করেছেন।