ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের আলোচিত পুলিশ এসল্ট মামলা পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমদ মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করেছেন। ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও তার সহোদর শামীম আহমদ চৌধুরী দ্বয়ের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালের ১৪ মে।
সুরমা নদীতে পৌরসভা ও বিভিন্ন সমিতির নামে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ফেইসবুকে কটুক্তি করার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ওসি তদন্ত কাজী গোলাম মোস্তফা, এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান, এসআই শামীম আকঞ্জী সহ প্রায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাহাব উদ্দিন নামের এক ঠেলা চালকেরও মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা ছাড়াও ছাতক থানায় ৯৫ জনের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা (নং-১৭) দায়ের করে।
পুলিশ এসল্ট মামলায় পৌরসভার ৯ জন কাউন্সিলর সহ বাগবাড়ী গ্রামের কামাল আহমদ চৌধুরী, বাবুল চৌধুরী, শামীম আহমদ চৌধুরী, নূরুজ্জামান চৌধুরী সম্রাট, শামীম চৌধুরী ২, তানভীর চৌধুরী, কুহিন চৌধুরী, গহরপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিন সাহেল, ছাতক শহরের আশরাফ চৌধুরী, মন্ডলীভোগ এলাকার জামিল আহমদ, অপু দাস, মুক্তিরগাও গ্রামের শামীম আহমদ, পৌর কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ, লিয়াকত আলী, সুদীপ দে, তাপস চৌধুরী, নওশাদ মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন সুমেন, ধন মিয়া, আছাব মিয়া সহ ৯৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর ছাতক থানার মামলা নং-১৭, জিআর-১৪৫/১৯ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালতে দাখিলীয় চার্জশিটে ৯৫ আসামীর মধ্যে ৭০ জনের নাম বাদ দিয়ে ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ নিয়ে হতভম্ব এলাকাবাসী ও মামলা সংশ্লিষ্টরা। মামলার চার্জশিট নিয়ে আবারো দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ধার্য তারিখে (১৬ নভেম্বর) আদালতে হাজিরা দিতে যান আসামীরা। একাধিক আসামী জানান আদালত অসম্পূর্ণ চার্জশিট গ্রহণ করেননি। পরবর্তী তারিখ শুনানির জন্য ধার্য করা হয়।
ওই তারিখে বাগবাড়ী এলাকার মকবুল হুসেনের পুত্র সাব্বির আহমদ প্রদত্ত চার্জশিটের উপর অনাস্থা পোষন করে আদালতে একটি আবেদন করেছেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআই’র কাছে স্থানান্তর করেছেন বলে জানা গেছে।