বহুল প্রতীক্ষিত সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকার দলের জঘন্য কর্মকান্ডে সিলেটবাসী হতবাক। এর মাধ্যমে সিলেটের সৌহার্দ্য সম্প্রীতির রাজনীতির ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বেলা ১২টার দিকে তাৎক্ষণিক জরুরী প্রেস বিফিংকালে উপরোক্ত কথা বলেছেন- নাগরিক ফোরাম মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি চলমান নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বেলা ২টায় সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বৃহৎ পরিসরে সাংবাদিক সম্মেলনের আহ্বান করেছেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন- সকালে দিনের শুরুতেই সিলেট সিটি নির্বাচনে এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে সরকার দলের প্রার্থীর লোকজন। সোমবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে ২০নং ওয়ার্ডের এমসি কলেজ কেন্দ্র, ১১নং ওয়ার্ডের লামাবাজার কেন্দ্র ও ৭নং ওয়ার্ডের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার দুটি কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ি মার্কার এজেন্টদের বের করে দেয় ছাত্রলীগ। সেখানে দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয় বলেও জানান সেখানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীগণ।
তারপর ১৩নং ওয়ার্ডের কাজিরবাজার কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ির এজেন্টকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় বের করে দেয়া হয়, মীরাবাজার জামেয়ার এজেন্ট রুমেল আহমদের বাড়ীতে তল্লাশী চালানো হয়, ২১নং ওয়ার্ডের স্কলার্সহোম কেন্দ্রে ভোটারদের শুধু কাউন্সিলারদের ব্যালট দেয়া হলেও মেয়রদের ব্যালট দেয়া হয় নাই, ২০নং ওয়ার্ডের নবীণচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘড়ির এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়, সাদীপুর হাতিম আলী বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ঘড়ির এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়, বাগবাড়ী বর্ণমালা স্কুলে বিধান কুমার সাহার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কেন্দ্র দখল করা হয়, পাঠানটুলা জামেয়া কেন্দ্রে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রুম্মান আহমদের নেতৃত্বে ঘড়ির এজেন্টকে হেনস্থা করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়, সেখানে জাল ভোট দেয়া হলে জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলী চালায় এতে দুজন গুলীবদ্ধ হয়।
তিনি আরো বলেন, ঝেরঝেরী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ দখল করে, উপশহর শাহজালাল স্কুলে ১১টার ভিতরেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। খাসদবির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দখল করতে গিয়ে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ। ২৪নং ওয়ার্ডের গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক এমপি শফিক চৌধুরীর নেতৃত্বে কেন্দ্র দখল করে নেয়া হয়। হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে সেখানে ছাত্রলীগ একাই ভোট দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব মো: ফখরুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি