মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে অবৈধ ইজিবাইক (টমটম) গাড়ি বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ চুরি বেড়েছে। প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ ভাগ বিদ্যুৎ চুরি হয়ে থাকে। এতে সরকারের প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। যে কারণে বেড়েছে লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজ সমস্যা। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সব গ্রাহক। যদিও বিদ্যুৎ চুরি রোধে জগন্নাথপুর উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, এরই ধারবাহিকতায় ২৭ জুলাই শুক্রবার রাতে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে পৌর শহরের হাসপাতাল পয়েন্ট এলাকার কাশেম মিয়া সহ ২ গ্রাহক ও উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে মিরাজ মিয়ার ছেলে রাজন আহমদ এবং আবদুর রহমানের ছেলে জুয়েল মিয়া সহ ৪ গ্রাহকের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, জগন্নাথপুরে প্রায় এক হাজার টমটম গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ গাড়ির ব্যাটারি চার্জ হয় চুরি করা বিদ্যুৎ দিয়ে। বিভিন্ন গ্যারেজের মালিকরা বাইপাস লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ চুরি করে এসব গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করে থাকে। প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ ভাগ বিদ্যুৎ চুরি হয়ে থাকে। এতে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরির কারণে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জগন্নাথপুরে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে। তবে শতভাগ প্রি-পেইড মিটার লাগানো হলে অনেকটা চুরি কমবে। সেই সাথে বিদ্যুৎ চুরি প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া ভূক্তভোগী জনতারা জানান, ইজিবাইক (টমটম) গাড়ি যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধান সড়ক গুলোতে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব গাড়ির কারণে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হয়েছে যানজট। চুরি হচ্ছে বিদ্যুৎ। এরপরও এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।