চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মার্চ মাস হলো মহান স্বাধীনতার মাস। এ মাসেই আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। মহান এই স্বাধীনতার মাসে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। তারপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টে নিহত পরিবারের সকল সদস্যদের স্মরণ করেন। জাতীয় চার নেতা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদেরও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলাম। ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরে চট্টগ্রামে প্রথম আমার নেতৃত্বে মিছিল বের করেছিলাম। বিভিন্ন কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূল থেকে ওঠে এসেছি। অনেক দুঃসময় ও সুসময় দেখেছি কিন্তু কখনো পদের লোভ করেনি। সেজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চট্টগ্রামের মেয়র পদে বসিয়েছেন। তিনি বলেন, সঠিক নেতৃত্ব তৃণমূল থেকেই গড়ে উঠে। তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। ত্যাগী নেতারা সবাই প্রবীণ। তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের জাতীয় নেতা জহরলাল নেহেরুর প্রবীণ-নবীণের একটি গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
প্রবীণ-নবীণের সমন্বয় করে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। তবে মিত্র হয়ে দলে ঢুকে যারা দলকে নষ্ট করতে চায়। তাদেরকে কোনো ভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সবসময় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কারণেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মাধ্যমেই এই স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। এছাড়াও তিনি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী সহ সিলেটের জাতীয় নেতৃবৃন্দ স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ, দেওয়ান ফরিদ গাজী, এস.এম কিবরিয়া ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনীতিতে অবদানের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সেভাবেই আমাদের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দকে অল্প সময়ের মধ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টায় উপশহর রোজ ভিউ হোটেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন সভা পরিচালনার পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। প্রতিটি ওয়ার্ড ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা ৯টি উপকমিটির মাধ্যমে অনেক কাজ সম্পাদান করেছি। ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ চলমান। খুব শীঘ্রই একটি বর্ধিত সভা করা হবে। তারপর ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মতই জাতীয় রাজনীতিতে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ, দেওয়ান ফরিদ গাজী, এস.এম কিবরিয়া, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সহ সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অবদান অবিস্মরণীয়। বর্তমানে সিলেটের পাঁচ মন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে সময় দেওয়ার জন্য তিনি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রোকসানা পারভীন, তৌফিক বক্স লিপন, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, শিপা বেগম শুপা, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল। বিজ্ঞপ্তি