তাহিরপুর প্রতিনিধি
হাওর বেষ্টিত এলাকাখ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্র থাকলেও গত চার মাস ধরে চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অর্ধশত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ইউনিয়ন ভিত্তিক পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্রে প্রতিদিন জরুরিভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন হাওরাঞ্চলের গ্রামগুলোর হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষজন। তবে এর উল্টো চিত্র দেখাগেছে, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন নারী, পুরুষ, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাসহ এই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার লোকজন।
ফলে দুর্ভোগ নিয়ে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েও অন্যত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্চেন তারা। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার সারা দেশের পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে হাওরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। দেখে মনে হবে যেন কেন্দ্রটি নিজেই রোগী হয়ে পড়ে আছে অসহায়ের মতো যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের দরজা খোলা রয়েছে, তবে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ।
স্থানীয়রা জানালেন, গত চার মাস ধরে এখন থেকে কোন স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছেন না তারা। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা নিতে না পেরে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ৬টি পদ রয়েছে। পদগুলো হলো- মেডিকেল অফিসার ১ জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১জন, পরিবার ও পরিকল্পনা প্রদর্শিকা ১জন, ফার্মাসিস্ট ১জন, আয়া ১জন, এমএলএসএস ১জন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে ৬টি পদের মধ্যে একজন (এমএলএসএস) রয়েছেন এই কেন্দ্রটিতে। স্থানীয় বাসিন্দা মো.আশরাফুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই সাস্থ্যকেন্দ্রটির সেবা একে বারেই বন্ধ রয়েছে।
ফলে প্রতিদিন আশেপাশের গ্রামগুলোর মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের একজন ভিজিটর ছিলেন। বালিজুরি ইউনিয়নে উনার বদলিজনিত কারণে এই পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্রটিতে সেবা দেয়া যাচ্ছে না। তবে শ্রীগ্রই সেবা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করা হয়েছে।