কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তবে তিন সিটির ভোট সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এই দাবি জানায়।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সহসভাপতি কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি তিন সিটি নির্বাচনে অবিলম্বে সেনা মোতায়েন করা হোক। এই কথাটি আমরা পুনরায় জোর দিয়ে বলেছি। সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা আছে। তারা মাঠে থাকলে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেয়া সম্ভব হবে।’
‘সিইএসি এই দাবির ব্যাপারে কি আশ্বাস দিয়েছেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা দাবির বিষয় না। আমরা এখানে আলোচনা করতে এসেছি। তাদের সহোযোগিতা করতে এসেছি। দুনিয়াতে কেউ কারো দাবি শুনে না। যার-যার অধিকার নিজেকে অর্জন করে নিতে হয়।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই এই প্রতিষ্ঠানটি যাতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারে। মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এখন একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম হয়ে আছে।’
মঈন খান বলেন, ‘আমরা এখনো নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা হারাইনি। তাই রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। বিভিন্ন কারণে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি তিন সিটিতে ভালো নির্বাচন দিয়ে তারা মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দুই সিটির মতো যাতে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি আগামী তিন সিটিতে না হয় সে বিষয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, ‘গত দুই নির্বাচনে অনিয়মের কথা শুধু আমরা বলিনি। বিভিন্ন দেশ ও যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে তারাও বলেছে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিন সিটি নির্বাচনে আমরা সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত যা আছে তাতে সন্তুষ্ট বলা যায়।’
খুলনা-গাজীপুরের অনিয়ম যাতে তিন সিটিতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ইসির ব্যবস্থার নিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ওই নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি এটা বলবো না। অনিয়মের কারণে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। অনিয়মের কারণ খুঁজে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
আগামী ৩০ জুলাই সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।