স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জে পিয়াইন নদীতে বালু ও পাথরবাহী নৌকা থেকে চাঁদা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শিলাকুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানকালে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযানে ৩টি নৌকাও আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে- উপজেলার শিলাকুড়ি গ্রামের সোহাগ (২২), শাহ আলম (৩০), ইলিয়াছ (২২), আনোয়ার (২৫), আমির হোসেন (২২), চান মিয়া (৩৮) ও আব্দুল্লাহ (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই উপজেলার ধলাই, পিয়ান নদীতে চাঁদাবাজ চক্র পাথর ও বালুবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ইঞ্জিনবিহীন নৌকা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে শত শত নৌকা থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করতো তারা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, ধলাই ও পিয়ান নদীতে চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পিয়ান নদীর শীলাকুড়ি এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ (২২) নামে এক চাঁদাবাজ ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আটক করা হয়। আটক আব্দুল্লাহকে পানি পথে নিয়ে আসার সময় শিলাকুড়ি গ্রামের সুলতানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক নৌকা লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল লেইছ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাইর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।