আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন নাগরিক ফোরাম মনোনীত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বৃহস্পতিবার এডভোকেট জুবায়েরের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন।
অভিযোগে তিনি বলেন- ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আচরণ বিধি লংঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একই সাথে সরকারী দলের প্রার্থীর লোকজন কর্তৃক এডভোকেট জুবায়েরের টেবিল মার্কার প্রচারণায় নিয়োজিত কর্মীদের হুমকী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়- মাইকিং ব্যবহারের সংজ্ঞা ও সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ১১ জুলাই বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় পর্যন্ত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসপাতালের ২নং গেইটের সম্মুখে একাধিক হরণ ব্যবহার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে। পোষ্টার/ব্যানার ব্যবহারের নীতিমালা থাকলেও নৌকার প্রার্থী প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় নির্ভানা ইন-এ এবং ধানের শীষের প্রার্থীর প্রধান কার্যালয় কাজীটুলাস্থ মিতা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বৃহদাকার ব্যানার ঝুলানো হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী কর্তৃক থেকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রচারণা কাজে নিয়োজিত কর্মীদেরকে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ড, ৭নং ওয়ার্ডের নুরানী আবাসিক এলাকা, ৬নং ওয়ার্ডের বাদামবাগিচা, ১৯নং ওয়ার্ডের টিবি গেইট এলাকায় হুমকী-ধামকী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়াও উপরোল্লিখিত স্থান সমুহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী কর্তৃক টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রচারণায় নিয়োজিত কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ এবং গ্রেফতারের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান এডভোকেট জুবায়েরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি