কক্সবাজারের বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক, সিলেটের কৃতি সন্তান নজরুল ইসলাম বকসী ইন্তেকাল করেছেন। গত রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টায় ভারতের বেলোরে সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি ভারতে চিকিৎসাধীন স্ত্রী, তার সাথে অবস্থানরত এক পুত্র ও কন্যা রেখে গেছেন।
নজরুল ইসলাম বকসী সহধর্মিণী লুৎফা বকসীর ক্যান্সার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম বকসির বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শাহার পাড়া চকতিলক গ্রামে। সিলেট নগরীর মিরাপাড়ায় তাদের পারিবারিক বাসা রয়েছে। তিনি প্রায় এক যুগ দৈনিক জালালাবাদে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এই প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু সেটি হলো না। চিরদিনের জন্য পরপারে চলে গেলেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকশি। তার স্ত্রী লুৎফা বকসীর জীবনও শঙ্কটাপন্ন। অর্থ সংকটের মধ্যে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ভারতের বেলোরে ব্যয় বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকসী। সেখানে গিয়ে তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারা দুজন দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর তাদের দুটি সন্তান ভাষা ও বর্ণ তাদের সঙ্গে সেখানে (ভারতের বেলোরে) রয়েছে।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকশীর পুত্র ভাষা তার পিতার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছে। তার স্ত্রী লুৎফা অসুস্থ থাকায় তার লাশ দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে ভাষা জানিয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ভাষা জানিয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক, সিলেটের কৃতি সন্তান নজরুল ইসলাম বকসী ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন-দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আফতাব উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম আহমদ আলী, বর্তমান সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ইমরান। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।-বিজ্ঞপ্তি