স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর কান্দিরগাঁওয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার নিহত আব্দুল আহাদ উরফে ফকিরের স্ত্রী মোছা: ছফিনা বেগম বাদি হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৩।
মামলার আসামীরা হচ্ছে- জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাঘারপাড় গ্রামের আনিস আলীর পুত্র কালা মিয়া (৩৫), তার ভাই মকরম আলী (২৭), লোকমান (২০), একই গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার পুত্র ইসলাম আলী (৩০), তার ভাই লায়েছ (২৫), রমজান (২০), মৃত সফর আলীর পুত্র রফিক (৪০), মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র আজির উদ্দিন (৩০), তার ভাই জোনাব আলী (৪৫), শাহিন আহমদ (২২), কাদির (২৪), মৃত ইছাক আলীর পুত্র মকবুল (৫২) তার ভাই মকলিছ (৬৫) ও মৃত মফিজ আলীর পুত্র আনিছ আলী (৬২)।
এদিকে, নিহত আব্দুল আহাদ ফকিরের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুরে পুলিশ আত্মীয় স্বজনের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেছে। নিহত আব্দুল আহাদ ফকির জালালাবাদ থানার বাঘারপাড় গ্রামের শমসের আলীর পুত্র। রবিবার বাদ আছর বাঘারপার জামে মসজিদে জানাযার পর তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত আব্দুল আহাদের ৪ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার তারাবির নামাজের পর কান্দিরগাঁওয়ের বাঘারপার গ্রামে দু’পক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে আব্দুল আহাদ উরফে ফকির ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।