কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ নবম রমজানুল মোবারক ১৪৩৯ হিজরী। সাধারণত রোজা ভাঙ্গার কাজকে ইফতার এবং যে খাবার খাওয়া হয় তাকে ইফতারি বলে। রাসূলে কারীম (সা.) হাদীসে কুদসীতে বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমার কাছে সেই ব্যক্তি অতি প্রিয় যে তাড়াতাড়ি ইফতার করে (তিরমিযি) রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে মুখরোচক অনেক খাবার বাসায় তৈরি হয় তেমনি বাজারে নানা রকমারী খাবার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আর এসব খেয়ে আমাদের শুরু হয় পেট জ্বালা, বমি, পাতলা পায়খানা। পরে দেখা যায় পরদিন অনেকে রোজা রাখতে পারেন না। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে এসব ভাজাপোড়া খাবার রোজাদারের জন্য মোটেই উপযোগী নয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাসূলে কারীম (সা.) বলেন, তোমরা খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কেননা তাতে বরকত রয়েছে। যদি খেজুর না থাকে তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করো। পানি পাক ও পবিত্র। আমাদের উচিত খেজুরসহ ইফতারি হিসেবে ঠান্ডা পানীয়, ডাবের পানি, দেশী ফলমূল যেমন-পেঁপে, শসা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া প্রভৃতি উপাদেয় খাদ্য দিয়ে ইফতার কর। আমাদের মনে রাখতে হবে ইফতার মানে পরিমিত নাশতা বা হালকা খাবার। ইফতারিতে ঝাল জাতীয় খাবার যদি না খেলেই নয়, তাহলে কম ঝাল দিয়ে তৈরী বুটভুনা, পেয়াজ, বেগুনী, মুড়ি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাজাপোড়া না খেয়ে ভাত, ভাজি, গোসত দিয়েও ইফতার করে থাকেন। শহরে ইফতার করার পর সন্ধ্যা রাতে ভাত,আটার রুটি, মাছ বা গোশত, ডাল সবজি খেয়ে থাকেন তাতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইফতারিতে পান করতে প্রচুর পরিমাণ পানি যাতে দেহ পানি শুন্য হয়ে না পড়ে। অল্প ইফতার গ্রহণ করায় লালা নিঃসরণকারী গ্লান্ড চাঙ্গা হয় এবং পরবর্তী খাবার গ্রহণের জন্য শরীর প্রস্তুত হয় বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন।