স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট জেলায় চাষের আওতায় আসছে ১৩ হাজার হেক্টর পতিত জমি। ‘মাঠপর্যায়ে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এ পরিকল্পনা গ্রহণ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট জেলার কৃষি উন্নয়ন ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
বোরো মৌসুমে সিলেটে প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। অনাবাদি জমি কীভাবে চাষের আওতায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয় অনুষ্ঠিত এ সভায়।
আগামী বোরো মৌসুমে প্রতিটি উপজেলায় ১০০০ হেক্টর করে মোট ১৩ হাজার হেক্টর অনাবাদি/পতিত জমি চাষের আওতায় আনা এবং প্রতি বছর ১৩ হাজার হেক্টর করে ৫ বছরে মোট ৬৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সে লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উপজেলা কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কোর কমিটি ও উপজেলা সেচ কমিটির সঙ্গে সভা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খননযোগ্য খালের তালিকা প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও পতিত জমিতে আবাদের লক্ষ্যে কৃষকদের যথাসময়ে সার ও বীজ সরবরাহের জন্য বিএডিসি-কে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং ফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে বিএডিসি (সেচ), পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি-কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, বিএডিসি (সেচ), সার-বীজ প্রকল্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।