জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের মহিরূহ ছিলেন। নির্যাতিত মানুষের জন্য তিনি সারাজীবন জয়গান গেয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনি সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মানিক মিয়ার সভাপতিত্বে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ফরিদ প্লাজায় অনুষ্ঠিত সভায় ড. মোমেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক হিসেবে কেবল একটি দেশ স্বাধীন করে কান্ত হননি। তিনি সকল ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা দিয়ে গেছেন। দেখিয়ে গেছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ৭৬টি দেশের স্বীকৃতি আদায়, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সদস্যভুক্ত করেছেন। দেশে কৃষি, শিক্ষা, শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথ প্রসারিত করেছেন। অত্যন্ত সুন্দর শাসনতন্ত্র দিয়ে গেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একটি মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দু’জনই মানুষের মন বুঝেন। দেশের জনগণের জন্য বাবার মতো শেখ হাসিনাও নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে দেশকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর নিয়ে যাচ্ছেন। বাঙালি পারে- এই মানসিকতায় দাঁড়িয়ে আজ আমরা বলতে পারি, এখন আমরা তলাবিহীন ঝুঁড়ি নই। এক্ষেত্রে তিনি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
ড. মোমেন কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর উক্তি তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে তিনি বলেছিলেন- আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। এই হিমালয় সমান মহাপুরুষকে জানতে আত্মজীবনী ও অন্যান্য বই পড়ার অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি মো. শামসুল আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সহ-সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, সহ-সভাপতি হেলেন আহমেদ, মাহমুদুর রহমান, ভানু লাল দাস ও নির্বাহী সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন। বিজ্ঞপ্তি