আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে নগরভবনে আয়োজিত এক সভায় এ আহবান জানান তিনি।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী এ জেড নূরুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিসিক মেয়র বলেন, রমজানের আগে ও পরে কোনভাবেই পণ্যের দাম বাড়ানো যাবেনা। সিসিক এক্ষেত্রে নগরীর প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় রাখতে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করবে। তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ নয় বরং সাধারণ জনগণকেও দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সকলে একযোগে সহায়তা করলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। মেয়র বলেন, নগরীর নাগরিকদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো এবং ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব সকলকে নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে জনসাধারণ এবং গণমাধ্যম সহযোগীতা করলে সিসিকের লক্ষ্য বাস্তবায়ন অনেকাংশে এগিয়ে যাবে।
এছাড়া রাস্তা দখল করে খোলা বাজারে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় না করার অনুরোধ জানিয়ে সিসিক মেয়র বলেন, যত্রতত্র ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসলে রোজাদার মানুষের চলাচলে কষ্ট হয়। আর নিজের ব্যবসার জন্য অন্যকে কষ্ট দেয়া গুরুতর অপরাধ। তাই এসকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে মূক্ত রাখতে পারলে ধৈর্য ও সংযম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অশেষ সওয়াব হাসিল করা সম্ভব হবে।
সভায় মাংস বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, কোন ধরণের রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা যাবে না। সওয়াবের উদ্দেশ্যে সবল পশু জবাই করতে হবে। তবেই ইহকাল ও পরকালে মূক্তি পাওয়া সম্ভব। সভায় সিসিক মেয়র মাংস বিক্রেতাদের যেখানে-সেখানে পশু জবাই না করে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে জবাই করার নির্দেশ দেন। এছাড়া নগরবাসীর চাহিদামত গ্যাস,পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপস্থিত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
নগরীর প্রত্যেক মানুষকে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আসুন, আমরা সকল প্রকার অকল্যাণ বর্জন করে পরিষ্কার-পরিচন্ন নগরী প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করি। সভায় বক্তব্য রাখেন সিসিকের সচিব বদরুল হক, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, মো. রাজিক মিয়া, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, আফতাব হোসেন খান, মহিলা কাউন্সিলর কোহিনূর ইয়াসমিন ঝর্না, জাহানারা খানম মিলন, দিবা রানী দে, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুজ্ঞান চাকমা, র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, এসসিসি আইর পরিচালক আমিরুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল। বিজ্ঞপ্তি