স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত ওমর মিয়াদ (২২) হত্যা মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ দেন। এছাড়াও আদালত আলোচিত এ মামলাটি আর কোন তদন্ত না দিয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশের দাখিলকৃত চার্জশিটে (অভিযোগপত্র) বাদ পড়া প্রধান আসামীসহ ৬ জনকে সংযুক্ত ( সেন্ট আপ) করেছেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার এসআই প্রদীপ সরকার মিয়াদ হত্যা মামলায় ৪ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে মামলার বাদী ওমর মিয়াদের পিতা আকুল মিয়ার দেয়া চার্জশিটের (অভিযোগপত্র) ওপর নারাজির শুনানীর পর আদালত এ আদেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী। তিনি জানান- নারাজির ওপর শুনানী শেষে আদালতের বিচারক ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) থেকে বাদ পড়া ৬ জনকে ওই মামলায় সংযুক্ত (সেন্ট আপ) করেছেন। পাশাপাশি যে ৪ জনকে আগে চার্জশিটে অভিযুক্ত (সেন্ট আপ) করা হয়েছে তারাসহ এ মামলার জেলে থাকা তোফায়েল আহমদ ছাড়া বাকী ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বর্তমানে ৬ অভিযুক্তরা হচ্ছে- জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, রাফিউল করিম মাসুম, বিয়ানীবাজারের উত্তর চক্রবাণী গ্রামের মৃত মইনুল হকের পুত্র সারোয়ান হোসেন চৌধুরী, নগরীর রায়নগর এলাকার মিতালি ১৩০ নং বাসার আকরাম খানের পুত্র জুবায়ের খান (২৬), ফেঞ্চুগঞ্জের শরীফগঞ্জ গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার পুত্র ফাহিম শাহ (২৭) এবং জকিগঞ্জের সেনাপতিরচক গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র ফখরুল ইসলাম (৩৩)।
পূর্বের অভিযুক্ত ৪ জন হচ্ছে- জেলে থাকা তোফায়েল আহমদ ছাড়া শাহজালাল উপশহর ডি ব্লকের ২৩নং রোডের ৪৪১ নং বাসার হাবিবুর রহমানের পুত্র জাকারিয়া মাহমুদ (২৭), টিলাগড়স্থ ভাঙাটিকর এলাকার ২৩নং বাসার মৃত আখলাকুর রহমানের পুত্র রুহেল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ নয়ানগর গ্রামের মৃত ওসমান গণির পুত্র শওকত হাসান মানিক (২৬)।
সূত্র জানায়-এ বছরের গত ২৮ মার্চ আদালতে এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। নিহত ওমর মিয়া বেসরকারি লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বালিচরি গ্রামের আকুল মিয়ার পুত্র। এর আগে গত বছরের ১৮ মার্চ ওমর মিয়াদের পিতা আকুল মিয়া শাহপরাণ থানায় রায়হান চৌধুরীকে প্রধান করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত ও ৬জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত গতকাল উল্লেখিত অব্যাহতি পাওয়া ৬ আসামীকে অভিযুক্ত করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।