কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আজকের ক্ষুদে ফুটবলাররা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে। ছোটবেলা থেকে যারা খেলছে তারা একদিন বাংলাদেশের ফুটবলকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে। ফুটবল খেলায় বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭-এর চূড়ান্ত খেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঠে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের খেলা দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। এই খেলা একদিন সারা বাংলা মাতিয়ে রাখবে। বাংলার মানুষ আবারও ফুটবল খেলা উপভোগ করবে। তিনি খেলোয়াড় ছাড়াও কোচ রেফারিসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যপরায়ণতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। এ ছাড়া মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত রাখে। ফলে শিশু-কিশোরদের মাঝে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে।
তিনি বলেন, সুস্থ ও সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সবসময়ই খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া সরকার খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবমুখর এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবল অঙ্গনে জাগরণ তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মেয়েরা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন শিপের প্রথম আসরে ভারতের বিপক্ষে বিজয়ী হয়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজিত ফুটবল খেলা দেখার জন্য শেখ হাসিনা সাড়ে তিনটায় স্টেডিয়ামে হাজির হন। প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলা উপভোগ করেন। খেলা শেষে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করেন এবং খেলোয়াড়দের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন।