কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে হযরত মফিজ শাহ (রা:) মাজারে বার্ষিক ওরস ওরসের রাতে চলমান জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেওয়ার সূত্রধরে সকালে শিরণী বিতরণকালে দুই পক্ষের সংঘর্র্ষে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ঘটলে বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় শিরণী বিতরণকালে রাতের বিবদমান দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে ওরসের সময় একটি পক্ষের নেতৃত্বে মাজারের কাছাকাছি একটি স্থানে উন্মুক্তভাবে জুয়ার আসর বসে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মরাজানের পার গ্রামের আছকর মিয়ার ছেলে শামছু মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক একটি জুয়ার আসর তছনছ করে জুয়া খেলার উপকরণ ভেঙ্গে দেয়। সাথে সাথে মাজার এলাকা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করলে প্রশাসনের উদ্যোগে রাতে জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ নিয়ে রাতে ভাদাইর দেউল গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মুকিম মিয়া ও তার ছেলে জুনেদ মিয়ার সাথে আছকর মিয়া ও তার ছেলে শামছু মিয়ার বিরোধ বাঁধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসলে মুকিম মিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে ওরসের রাতে মাজার সংলগ্ন এলাকায় জুয়ার আসর বসেছিল। আর এ জুয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আছকর মিয়ার ছেলে শামছু মিয়া গংরা জুয়ার আসর তছনছ করে দেয়। এ বিরোধের প্রভাবে বুধবার সকালে মাজারে শিরণী বিতরণকালে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে মুকিম মিয়া (৫২), তার ছেলে জুনেদ মিয়া(২৩) ও অপর পক্ষের আছকর মিয়া (৫৭) ও ছেলে শামছু মিয়া(২৭) আহত হয়েছেন।
আহত জুনেদ মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি ফিরলেও তার বাবা মুকিম মিয়াকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যদিকে আহত আছকর মিয়া ও ছেলে শামছু মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ সকালে মাজারে শিরণী বিতরণের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবু সায়েম মো: আব্দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে শিরণী বিতরণকালে সংঘর্ষ হয়। রাতে জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে এসআই সায়েম বলেন, রাতের জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেওয়া না অন্য কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
তবে এ ঘটনা সম্পর্কে হযরত মফিজ শাহ (রা:) মাজার পরিচালনা কমটির সভাপতি ইউসুফ মিয়া, আহত মুকিম মিয়া ও আছকর মিয়া কেউই কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করছেন।