এইচএসসির ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত

44

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রশ্ন ফাঁস নয়, ভুলবশত পরের দিনের প্রশ্ন খুলে ফেলায় স্থগিত হলো চলমান এইচএসসির একটি বিষয়ের পরীক্ষা।
সোমবারের (২৩ এপ্রিল) এইচএসসির ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে জানানো হয়েছে, নতুন করে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে এই পরীক্ষা নেয়া হবে। নতুন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ মে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জানান, রবিবার ভূগোল প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু নেত্রকোণার দুর্গাপুরের একটি কেন্দ্রে ভুলবশত ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। আর সেটি খুলেও ফেলা হয়। পরে প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নতুন করে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষাটি নেয়ার জন্য শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘ময়মনসিংহের দুর্গাপুরের একটি কেন্দ্রে ভুলবশত প্রথমপত্রের বদলে দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নের সিলগালা করা খাম খোলা হয়। খামের ভেতর আগামীকালের (সোমবার) ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র দেখে তা আবার বন্ধ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক আগামীকালের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
‘এত স্বল্প সময়ে নতুন করে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে সারাদেশে পাঠানো সম্ভব নয়। এ কারণে নতুন করে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে নতুন প্রশ্নপত্র ছাপাতে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার স্বার্থে আমরা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।’
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আর স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। ভুল প্রশ্নপত্র দেয়ার সঙ্গে যারা দায়ী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। একটি কমিটিতে ঢাকা বোর্ড এর ডেপুটি কনট্রোলার এর নেতৃত্বে আছেন তিনজন সদস্য। আরেকটি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কাজ করবেন তিনজন।
গত কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন আগে ভাগেই সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে আসা নিয়ে তোলপাড় চলছে। তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে একাধিক সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষার আগে আগে লটারি করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে কোন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। আর এর সুফল মিলেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসেনি।