বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর থেকে
লঘুচাপের প্রভাবে তাহিরপুরে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি আরো দু’তিন দিন থাকতে পারে। এতে করে আগাম শীতকালীন সবজী ক্ষেতগুলোর সবজি ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষক।
কৃষকরা জানান, শীতাকলীন আগাম সবজী উৎপাদনের লক্ষ্যে ইতি মধ্যে তারা জমি প্রস্তুত সহ সার, কীটনাশক, জমিতে বীজ বপন, জমিতে চারা গাছ লাগানো এবং মাচা তৈরীর কাজ সেরে নিয়েছেন। এ অবস্থায় গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে অধিকাংশ কৃষকের আগাম সবজী ক্ষেতগুলোতে পানি জমেছে। পানি জমে থাকার কারনে মুলা, ডাটা, ধনিয়া পাতা, লাল শাক, টমেটো, ফুল কফি, বাধা কপি, বড়বটি, লাউ, মরিচ, সীমের চারা সহ আরো অনেক শীতকালীন সবজী চারা ও বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের শিমুল তলা গ্রামের কৃষক আলী ইউসুফ, তিনি জানান, তিনি এবার ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে লালশাক, ডাটা শাক ও মুলা শাক বীজ বপন করেছিলেন কিন্তু বৃষ্টির কারনে তার সবজী ক্ষেতে পানি জমে সবজি নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এর আগেও কিছুদিন পূর্বে তিনি আরও একবার বৃষ্টির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বাদাঘাট ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা গ্রাম পুরান লাউড়। গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, তিনি জানান তিনি এবার ২০ শতাংশ জমিতে টমেটো গাছ লাগিয়েছেন। টমেটো গাছ গুলো কিছুটা বড় হয়েছিলো কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারনে গাছ গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্র কৃষকদের আগাম শীতকালীন সবজী ক্ষেত বৃষ্টির কারেণ ক্ষতির মুখে পরেছে। এতে করে একদিকে যেমন কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হবে অপরদিকে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পরবে বলে মনেকরেন তাহিরপুরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবাসায়ী ও ক্রেতারা।
তাহিরপুর বাজার সবজী ব্যাবসায়ী অমিত দাস বলেন, বাজারে এমনিতেই সবজীর দাম বেশী। বৃষ্টির কারনে শীতকালীন আগাম সবজী নষ্ট হলে এর প্রভাব বাজারে পরবে। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিমা আক্তার বলেন, একাধিক কৃষকদের সাথে তিনি কথা বলেছেন এবং অনেক কৃষক তাকে জানিয়েছেন, লাগাতার বৃষ্টির কারনে তাদের জমিতে পানি জমেছে এবং রোপন কৃত ছোট চারা গাছ গুলো মরে যাচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামন বলেন, বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজীর ক্ষতি কিছুটা হবে। তবে এখনি বলা যাচ্ছে না কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে।