ঈদে স্বর্ণালংকার-টাকা নিজের সঙ্গে নিয়ে যান : আইজিপি

10

কাজির বাজার ডেস্ক

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে অথবা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে রেখে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
নগরবাসীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, বাড়ি একেবারে ফাঁকা রেখে না যাওয়াই উচিত। যদি যান তাহলে গহনা ও টাকা-পয়সা নিকটাত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকা থাকবেন তাদের কাছে রেখে যান অথবা পারলে নিজের সঙ্গে নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি। আইজিপি বলেন, প্রতি বছর আমরা ঈদের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রমজানের সময় সারা মাসজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তার সঙ্গে একটা সময় এসে আমরা মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন মার্কেটগুলোর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাসহ পর্যটনস্থানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছি। আমাদের স্পেশাল টিমসহ পুলিশের সব ইউনিট এই ঈদের সময় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিয়োজিত থাকব। তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবহণ কাউন্টারগুলোতে কথা বলেছি- এখনো তেমন যাত্রীচাপ পড়েনি। সেহরির পর যাত্রীর চাপ বাড়বে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ঈদের জামাতের মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। এ সময় পুলিশপ্রধান যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা ভ্রমণকালে অপরিচিত কোনো মানুষের দেওয়া কিছু খাবেন না। এগুলো খেলেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আছে। আমরা আশা করছি, সাধারণ মানুষ কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া ইদযাত্রা করতে পারবেন। ঈদে ঢাকা ফাঁকা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমাদের ওই সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাতের বেলা ও দিনের বেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা ছাড়াও বড় বড় শহরেও আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা দেখেছি, ফাঁকা ঢাকায় অনেকে বাসা-বাড়ি পরিবর্তন ও ফার্নিচার পরিবর্তন করেন। এমন পরিবর্তন কেউ করতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীরা যেন তাদের প্রশ্ন করেন। পুলিশসহ আমরা সবাই সচেতন থাকলে ফাঁকা ঢাকাকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে পারব।
মহাসড়কে নিরাপত্তা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশসহ অন্যান্য পুলিশের ইউনিটও কাজ করছে। গাড়ি বেপরোয়া চালালে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে, তারাও ব্যবস্থা নেবে।