কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৫০, নিখোঁজ ১০

55

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের সেনাবহিনী।
এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে অবতরণের সময় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিএস ২১১ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ৭৮ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানটিতে ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন।
এর মধ্যে ৩৭ জন পরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২ জন শিশু। এদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি, ৩২ জন নেপালের এবং ১ জন করে চীন ও মাল্লীপের নাগরিক ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যদিও তারা বিমান দুর্ঘটনার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
টিআইএ কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রীকে উদ্ধৃত করে নেপালের অনলাইন সংবাদপত্র মাই রিপাবলিকা জানিয়েছে, বিমানটির ৫০ জনেরও বেশি আরোহী নিহত হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
কাঠমান্ডুর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা অন্তত ৫০ জনের পাণহানি হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছে।
টিআইএ মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে মাই রিপাব্লিকা নামের একটি অনলাইন সংবাদপত্র জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের দক্ষিণের টার্মিনাল থেকে ফেরার সময় রানওয়েতে গিয়ে এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। তারপর বড় আকারের ধোঁয়ার কুন্ডলি আকাশে উঠতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পর ত্রিভুবন থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুর্ঘটনার পরপরই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা হাসপাতাল এবং এয়ারপোর্টে আছেন।