বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন- অবৈধ আওয়ামী সরকার দুর্নীতি আর লুটপাটে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। তারা বন্যার্ত মানুষের ত্রাণের টাকাও লুটপাটে ব্যস্ত রয়েছে। এই বাকশালী সরকারের কাছে কেউ ই নিরাপদ নয়। দেশ পরিচালনায় তাদের পাহাড়সম ব্যর্থতা আড়াল করতে বাকশালী আওয়ামী শক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। দফায় দফায় বন্যায় দেশের মানুষ খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু বন্যার্তদের জন্য আওয়ামীলীগ তেমন কিছু করতে না পারলেও বড় বড় বুলি ছুড়ে জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার হীন ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি দেশের আপামর জনতার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রিয় দল। তাই জাতির যে কোন দুর্যোগে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে, করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রান কমিটির দেশব্যাপী ত্রাণ তৎপরতার অংশ হিসেবে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জের পৃথক স্থানে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস আরো বলেন- বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা সত্য প্রকাশ করলে তাদের আদালত অবমাননার মামলায় জর্জরিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল স্তরের নেতাকর্মীর মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্টের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ শীর্ষ স্থান নিয়ে কাদা ছুড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার হাজিগঞ্জ এলাকা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত পৃথক ত্রাণ বিতরণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভুইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাবেক কেন্দ্রীয় (ফরিদপুর ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুর রহমান, কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা সভাপতি নছিরুল হক শাহীন চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদ, বিএনপি নেতা ওয়াহিদুজ্জামান সুফি ও মোয়াজ্জেম হোসেন শাহেদ প্রমুখ।
দক্ষিণ সুরমায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ। ফেঞ্চুগঞ্জে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তছলিম আহমদ নেহার।
এদিকে বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : বন্যা আসলে আওয়ামীলীগের লাভ, কারণ তারা ত্রাণ চুরি করতে পারবে। অসহায় মানুষকে পুঁজি করে আওয়ামীলীগ অর্থ সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। বিদেশে তারা বাড়ি বানাচ্ছে কারণ তারা আগামীতে সেথায় পালিয়ে যাবে। রবিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে এসে জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। তিনি আরও বলেন ৭৪ এ দেশে বন্যা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তখন কিভাবে ত্রাণ চুরি করা হয়েছে তা আমরা দেখেছি আমি নিজেও ত্রাণ চোর ধরেছি। সতর্ক থাকবেন যেন আপনাদের নামে বরাদ্দ আসা ত্রাণ কেউ চুরি করে নিতে না পারে। তিনি বিএনপির সকল নেতা কর্মীকে বন্যার্তদের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের মির্জা, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক ও কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ শাখাওয়াৎ হাসান জীবন, সাবেক মহিলা এমপি শাম্মী আক্তার। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু, এডভোকেট আবেদ রাজা, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম শামীম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, পৌর বিএনপি সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল শহিদ খান, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান আইনুল হক মিনু, জুড়ী উপজেলা যুব দলের আহবায়ক হাবিবুর রহমান আসকর ও বড়লেখা উপজেলা বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন। কেন্দ্রীয় নেতারা জুড়ী বড়লেখা উপজেলার বন্যার্ত ২০০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।