কাজিরবাজার ডেস্ক :
খালেদা জিয়াজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন ধার্য আছে আগামী ৮ ফেব্র“য়ারি। এ মামলার অন্যতম আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রায়ে তার সাজা হলে তাকে কোথায় রাখা হবে? সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার, কিংবা কারাগারের বাইরে কোনও ভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে সেখানেই তাকে রাখা হবে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকারের বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকেও তখন একই এলাকায় ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে রাখা হয়েছিল।
তবে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে,এবার সাব-জেল ঘোষণা না করে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা হতে পারে। এজন্য গত ক’দিন থেকে সেখানে সংস্কারের কাজও চলছে।
খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়কেও বিশেষ কারাগার ঘোষণা করে সেখানে রাখা হতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স)কর্নেল ইকবাল হাসান বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’ কারা অধিদফতরের ঢাকা ডিভিশনের ডিআইজি (প্রিজন্স) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘তাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।’ কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলামও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহম্মেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাখার বিষয়ে তার কাছেও কোনও তথ্য নেই।’
সাজা হলে খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে এমন কোনও তথ্য জানা আছে কিনা প্রশ্নে খালেদার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখবে কেন, তার তো জেল হবে না। আর হলেও স্বাভাবিক কারাগারে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘এই মামলায় খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়ার মতো ন্যূনতম কোনও উপাদান নাই। এ মামলায় তার কাগজে-কলমে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনও সম্পৃক্ততা নাই। কোনও সাক্ষী বলেননি যে, তিনি কোনও কাগজে সই করেছেন বা কাউকে টাকা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নাম থাকার কারণে তারা ধারণা করছে যে, তিনি এটার সঙ্গে জড়িত। এজন্য অনুমানভিত্তিক কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও শাস্তি দেওয়ার মতো কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। তাই আমরা মনে করি, আদালতের পক্ষে তাকে শাস্তি দেওয়ার কোনও সুযোগ নাই।’
আমিনুল ইসলাম বলেন,‘তারপরও যদি তাকে শাস্তি দেয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আর এটা এদেশের মানুষ ভালোভাবে দেখবে না। বিচার বিভাগের প্রতিও মানুষের কোনও আস্থা থাকবে না। সরকারের জন্য কোনও মঙ্গলজনক বার্তা বয়ে আনবে না।’