স্টাফ রিপোর্টার :
নিম্নচাপের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নগরবাসীর জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। হেমন্তের বিদায়, শীতের আবির্ভাব। বইছে শীতল হাওয়া। এ যেন শীতের আগমনী বার্তা। প্রকৃতির খেয়ালে অগ্রহায়ণের শেষ সময়ে শীতের আগাম আমেজ অনুভূত হচ্ছে। এতে জনজীবনে এসেছে স্থবিরতা। রাস্তাঘাট ফাঁকা নেই স্বাভাবিক যানজট। স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত অন্যদিনের চেয়ে অনেকাংশ কম।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের প্রকোপও। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিক ও দিনমজুরেরা। বিঘিœত হচ্ছে স্কুল কলেজ ও অফিসগামী নগরবাসীরর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সিলেটের আকাশে দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাগরে নিম্ন চাপের কারণে আরো ২-১ দিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমদ চৌধুরী বলেন, শনিবার সকালে সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সোমবার পর্যন্ত নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে সিলেট বিভাগে।
গত শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বোঝায় যাচ্ছে, কুয়াশা পড়া শুরু না হলেও তাপমাত্রা হ্র্রাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ায় একটা শীত শীত আমেজ ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন প্রান্তে বিরাজ করছে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যতই কমবে শীত শীত ভাব তত বেশি অনুভূত হবে। তখন দিনের ও রাতের তাপমাত্রা দুটোই কমে আসবে।
অনেকের হেমন্তের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বৃষ্টি-এক কথায় শীতের আগমনী বার্তা। তবে আরেক শ্রেণির মানুষ এই শীত শীত আমেজকে সাময়িক বলে মনে করছেন। তাদের দাবি, বৃষ্টির কারণে সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছুটা শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। তাদের মতে, শীতের আগমণ কি না সেটা বুঝতে নিম্নচাপ কেটে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।