কাজিরবাজার ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শাল্লা থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি এই মামলা করেন।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭০০ জনকে। এর মধ্যে ৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানান তিনি।
পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনাইদ বাবুনগীর ও মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস (২৮) নামে নোয়াগাঁও গ্রামের এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন অভিযোগে উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন ঝুমনকে পুলিশে দেন। পরে বুধবার সকালে আশপাশের শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের পাশের ধারাইন নদীর তীরে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালায়।
সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন, আটক ঝুমন দাসকে বুধবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের আদেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।