বড়লেখায় স-মিল মালিক এর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার

246

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখা উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল সমনবাগ বনবিট এলাকা থেকে অবাধে সরকারী সেগুন গাছ পাচার হচ্ছে। শুক্রবার রাতে সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের সাইদ আহমদের বাড়ি সংলগ্ন স্থান থেকে পুলিশ ও জনতার সহায়তায় বনবিভাগ বিপুল পরিমান অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে। তিনি স্থানীয় একটি স-মিলের মালিক। এর আগে একাধিকবার তার স-মিল থেকে অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হলেও বনবিভাগ কিংবা পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি।
এলাকাবাসী ও ফরেস্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা রেঞ্জের আওতাধীন সমনবাগ বনবিট থেকে পাচারকারীরা কয়েকটি সেগুন গাছ কেটে সুজানগরের বড়থল গ্রামের সাইদ আহমদের নিকট বিক্রি করে। তিনি স্থানীয় একটি স-মিলের মালিক এবং বড়থল গ্রামের হাজী সালেমান আলীর ছেলে। শুক্রবার রাতে দুইটি পিকআপ ভ্যান ভর্তি লক্ষাধিক টাকার অবৈধ সেগুনকাঠ সাইদের বাড়িতে রাখা হলে স্থানীয় লোকজন তা টের পেয়ে বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয় বনবিভাগকে জানান। রাত ১০টার দিকে বনবিভাগের টহলবাহিনীর কর্মকর্তা শ্যামল রায়, সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস ও থানার এসআই শাহ আলম অভিযান চালিয়ে সাইদ আহমদের বাড়ির নিকট থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকার ১৫ টুকরা অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করেন। পরে সেগুলো জব্দ করে রেঞ্জ অফিসে জমা রাখা হয়। বনবিভাগ ও পুলিশের ধারণা অভিযানের খবর পেয়ে সুচতুর সাইদ অবৈধ কাঠগুলো বাড়ির ভেতর থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলে এবং কিছু কাঠ বাড়ির পাশের জলাশয়ে লুকিয়ে রাখায় পাচারকৃত সব কাঠ উদ্ধার করা যায়নি। অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী ও সরকারী সেগুন বাগান লুটপাটকারী সাইদ আহমদের স-মিলের লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহকারী কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, বড়থল গ্রামের সাইদ আহমদের বাড়ি থেকে ১৫ টুকরো অবৈধ সেগুনকাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বনআইনে সাইদসহ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন মামলা হয়েছে।