কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা আপাতত বাড়ানো সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেখা যাবে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ বছর করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিচের স্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে এবং নতুনদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কমে যায়। তাই যত বেশি অবসরের বয়স বাড়ানো হবে, তত চাকরিতে প্রবেশ কমে যাবে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেমিস্টার সিস্টেম করে দেওয়ায় এখন তেমন সেশনজট নেই। ফলে চাকরিতে প্রবেশের জন্য এখন অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখন আর অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।’
সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর অন্য এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের ভেতরে বিনিয়োগের জন্য সরকার সব সুযোগ-সুবিধাই নিশ্চিত করেছে। কিন্তু দেশে বিনিয়োগ না করে যারা অর্থ পাচার করতে চায়, তারাতো তা করতেই চাইবে।’
তিনি বলেন, ‘টাকা পাচার করলে সরকার তা শনাক্ত করে দেশে ফেরত আনছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। অন্য যারা অর্থপাচার করছে, তাও দেশে ফেরত আনতে সরকার যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।’