স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৃথক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজারে মা ও সন্তান এবং কমলগঞ্জে স্বামী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় গুরুহত আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী।
মাহবুব আহমদ খান, বিয়ানীবাজার থেকে জানিয়েছেন : বিয়ানীবাজারে সদ্যবিবাহিত মেয়ের বাড়ি আসা হলো না মা কল্পনা বেগম (৪৫)। শিশু পুত্রকে নিয়ে প্রাণ হারালেন ঘাতক ট্রাক্টরের চাপায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিয়ানীবাজার-শাহবাজপুর সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের বহনকারী সিএনজিকে চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর। মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর কল্পনা বেগম নিজে বাড়িতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর জানান। তার শিশু পুত্র মাহমুদুর রহমান (৪) মারাত্মক আহত হয়েছে, তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথাও পরিবারের সদস্যদের জানান। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথে কল্পনা বেগম মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন। তাদের মৃতদেহ বিয়ানীবাজার উপজেরা হাসপাতালে রাখা রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী।
কল্পনা বেগমের বোন ও স্বামী আজমত আলী একই সিএনজিতে ছিলেন। তারা বলেন, আচমকা একটি ট্রাক্টর এসে চাপা দিয়ে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আজমত আলীর বাড়ি বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনয়নের চান্দেরগুল এলাকায়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী বলেন, লাশ হাসপাতাল থেকে থানা নিয়ে আসা হবে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। তিনি বলেন, ঘটনাটি বড়লেখা এলাকায় হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা বড়লেখা থানা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ, গত সপ্তাহে বিয়ে হওয়া কল্পনা বেগমের মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর এলাকায়।
এদিকে পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর সড়কের তিলকপুর মাটিয়া মসজিদ এলাকায় শুক্রবার (২৬ জানুযারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নুরুল ইসলাম (৪৮) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত সালমা বেগম (৩১) কে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত নুরুল ইসলাম কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে। চালক আকল মিয়াসহ ঘাতক ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট ১১-৪১৬০) আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। গুরুতর আহত সালমা বেগম নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী এ দম্পতি কমলগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল যোগে আদমপুর যাচ্ছিলেন। ঘাতক ট্রাকের চালক কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ইছির মিয়ার ছেলে আকল মিয়াসহ ট্রাকটিকে আটক করে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোকতাদির হোসেন পিপিএম।