ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারে ১ম স্বামীর মৃত্যুর ৯ বছর পর অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সন্তান প্রসব করলেন এক মহিলা। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানা যায়, ২৫ জানুয়ারি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলার ১৫নং ওয়ার্ডে এক পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঘিলাছড়া গ্রামের সফিনা বেগম (৩৮)। তার স্বামী একই গ্রামের কলমধর আলী প্রায় ৯ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। কলমধর আলীর ঔরসজাত ২ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তার পেটে অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে ভাসুর তৈয়ব আলীর বাড়িতে গ্রামবাসিকে জড়ো করে। ২৩ জানুয়ারি গ্রামের মুরব্বি ইসলাম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গ্রামবাসির সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাবুল মিয়া, লয়লুছ খান, আলাল মিয়া, ময়না মিয়া, বতুল্লাহ, আতাউর রহমান, ছায়াদুর রহমান, ছমির উদ্দিনসহ গ্রামের সর্বস্তরের লোকজন। সভায় সফিনা বেগম ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত চান্দালীর পুত্র ৬ সন্তানের জনক ধন মিয়ার বিরুদ্ধে অসামাজিকতার অভিযোগ করেন। এ সময় ধন মিয়া গ্রামবাসির কাছে নিজের অপকর্মের স্বীকারোক্তি দিলে পরের দিন ২৪ জানুয়ারি সফিনার সাথে তার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য করা হয়। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হওয়ার আগেই সফিনার প্রসব ব্যথা দেখা দেয়। এতে বিয়ের আয়োজন পন্ডু হয়ে পড়ে। এদিকে প্রসব ব্যথা শুরুর পর সফিনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ২৫ জানুয়ারি রাতে সফিনা বেগম এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। তবে সভার সিদ্ধান্ত মতে ধন মিয়া হাসপাতালের যাবতিয় ব্যয়ভার বহন করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।