স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দু’গ্র“পের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই কনষ্টেবলসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংঘটনের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করছিলেন হাবিবের অনুসারী এক নেতা। তিনি উপস্থিত অতিথিদের নাম উল্লেখ করার সময় সিনিয়র-জুনিয়র প্রটোকল মানছিলেন না। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বিষয়টি নিয়ে সভা পরিচালনাকারীকে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় বর্ধিত সভা। সভা শেষে অতিথিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় দু’গ্র“পের পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শায়েস্তাসহ বেশ কয়েকজন হামলার শিকার হন। তখন তার প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-০০৯৪) এবং ২টি মোটর সাইকেল ভাংচুরসহ অনন্ত: ১৫ জনের মতো আহত হন। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ২ ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, পুলিশের দুই কনষ্টেবলসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল এখন শান্ত রয়েছে।