১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ দীর্ঘ এ নয় বছরে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় অর্জিত হয়েছিলো ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের সূত্রপাত ঘটান খুনি জিয়াউর রহমান, খুনি এরশাদ স্বৈরশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, কিন্তু জনতার দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে এবং শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটানো গেলেও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে পতিত স্বৈরশাসক ও তাদের সৃষ্ট রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা যায়নি। ৯০ সনে সামরিক শাসন অবসান করে গণ অভ্যুত্থানকে সফল করতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পথে চলা শুরু করে। কিন্তু বিএনপি-জামাত চক্র এর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ৭১-এর খুনি, রাজাকার ও সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার বলয়ে আশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িক সহিংস রাজনীতির সূত্রপাত ঘটায়। ইতিহাস কে বিকৃত করে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতি নয় জঙ্গিনীতি গ্রহণ করেছেন কাজেই তাকে ও তার সঙ্গিদেরকে রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। অবৈধ ক্ষমতাদখলকারী খুনি জিয়া এবং এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসন বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসী এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে বিষাক্ত ছোবল দিয়েছিলো তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে এবং শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সামরিক শাসনের জঞ্জাল দূর করতে হবে।
৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৪ টায় নজরুল একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর জাসদ আয়োজিত স্বৈরাচার পতন দিবসের আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা জাসদ সভাপতি জননেতা লোকমান আহমদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সভার শুরুতে খুনি এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সাথীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সিলেট জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ এর সভাপতিত্বে ও মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কে. এ. কিবরিয়ার চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, তাওহীদ এলাহী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি