স্টাফ রিপোর্টার :
বিমানবন্দর থানা এলাকা, বালাগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট ও চোলাই মদসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গত দু’দিনে বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- এয়ারপোর্ট থানার তারাপুর চা বাগানের মৃত বিমল হাওলাদারের পুত্র দিলীপ হাওলাদার (২৮), একই এলাকার মৃত বিরেন্দ্রের পুত্র বিপন উরাং (২২), জৈন্তাপুর থানার হেমুদত্তপাড়ার মৃৃত আব্দুল হাই’র পুত্র মো: আব্দুল হান্নান (২০), একই এলাকার রইছ উদ্দিনের পুত্র জাকারিয়া আহমদ সুমন (২০), মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র মো: মাসুক আহমদ (৩০), বালাগঞ্জ থানার সুলতানপুর গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দিনের পুত্র সাহেদ আলী (২২) এবং মৃত ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র মোঃ মাহিনুল ইসলাম চৌধুরী উরফে মাহিন চৌধুরী (৩০)।
র্যাব-পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওসমানী বিমানবন্দর রোডস্থ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী দিলীপ হাওলাদার ও বিপন উরাংকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩২ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবকে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও লোক চক্ষুর অন্তরালে বিমানবন্দর থানা এলাকায় মাদকের একটি বড় চক্র গড়ে তুলে। তাদের এহেন কর্মকান্ড যুব সমাজকে ধংসের দিকে ধাবিত করছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার ২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জৈন্তাপুর থানার বিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় গ্রামের জনৈক আনোয়ার হোসেনের পোল্ট্রি ফার্মের সামনে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো: আব্দুল হান্নান, জাকারিয়া আহমদ সুমন ও মো: মাসুক আহমদকে গ্রেফতার করে। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১০ লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জৈন্তাপুর থানায় এসআই মোঃ আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল ওইদিন রাত ৮ টার দিকে বালাগঞ্জ থানার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নস্থ ঈদগাঁ গেইটের সামনে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাহেদ আলী ও মাহি চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০৭ পিছ মেথাএমফিটামিন সমৃদ্ধ মাদক তথা ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে এসআই নিতাই লালা রায় এর দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে বালাগঞ্জ থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ইয়াবার করাল গ্রাস হতে যুব সমাজকে রক্ষায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অনুরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।