কমলগঞ্জে কৃষি জমিতে নির্মিত ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ

30

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজারের উত্তর অংশে ফসলি ক্ষেতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কৃষি জমির উপর বা এর আশপাশে ইটভাটা স্থাপন আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই ফসলি জমির মাঝখানে নির্দ্বিধায় ইটভাটা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টায় সরেজমিনে কৃষিজমির উপর ইটভাটা স্থাপনে কোনরূপ অনুমতি না থাকায় এই কার্যক্রম বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
সরেজমিনে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজারের উত্তর অংশে মৌলভীবাজার সড়কের পাশে ফসলি জমির চারপাশে সোনালী ধানে মাঠ ভরপুর। সেই ফসলি মাঠের মাঝেই কিছু অংশে নির্মিত হচ্ছে ইটভাটা। দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার কার্যক্রম শেষে পাকা চিমনি স্থাপনের কার্যক্রমও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই নির্দ্বিধায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যক্তি উদ্যোগে ইটভাটার কাজ চলছে। নিজের জমি ও লাভজনক ব্যবসা থাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অবকাঠামো স্থাপনের কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেই দুই ফসলি জমির উপর ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, স্থানীয় এক প্রভাবশালী কৃষিজমির উপর ইটভাটা স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছেন। এরফলে পরিবেশ বিনষ্ট হবে এবং ইটভাটার ধোঁয়ায় আশপাশ এলাকার জমির ফসল উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দুই ফসলি এই জমিতে ইটভাটা স্থাপনে কয়েক একর আবাদি জমি বিনষ্ট হবে এবং আশপাশ এলাকার কৃষিজমির উর্বর মাটি ভাটায় পুড়ানো হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে কৃষিজমি ও আশপাশে ঘরবাড়ি রয়েছে। যেখানে ইটভাটা স্থাপনের ফলে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক শিপার আহমেদ তরফদার বলেন, আমার ইটভাটা বন্ধ করার এখতিয়ার ইউএনও সাহেবের নেই। আমি আবেদন করেছি এবং ইটভাটার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পর সেটি দেখেই পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমতি দেবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, গতকাল এই সংবাদ পেয়েই আজ সরেজমিনে আসি। ইটভাটা নির্মাণকারী মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই একটি আবেদন করে কৃষিজমির উপর ইটভাটা নির্মাণে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।