স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার ক্রয়কৃত জমির মূল দলিলের পাতা বদল করে খরিদারের জায়গায় একাধিক ব্যক্তির নাম জুড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন উপজেলার দক্ষিণ রাজনগর নতুন বস্তি গ্রামের মখলিছুর রহমানের ছেলে মো. শামীম উজ্জামান। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাব রেজিষ্ট্রার ও জড়িত অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূমিখেকোদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার আমার ক্রয়কৃত জমির মূল দলিলের পাতা বদল করে খরিদারের জায়গায় আমার সাথে একাধিক ব্যক্তির নাম সংযোজন করে নিয়েছেন। আমি গত বছরের ৭ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ৮৬৯ ও ৮৭০ নং সাফকবালা দলিল মূলে কোম্পানীগঞ্জ ডাকবাংলো রোড এলাকার মৃত রাজ্জাক আলীর ছেলে মো. নিজাম উদ্দিনের কাছ থেকে সাড়ে ৬৮ লক্ষ টাকায় ২.২৫ একর জমি ক্রয় করি ও দখলপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে ওই জমি নামজারীর জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেই। সহকারী কমিশনার আমার দলিল ও অন্যান্য কাগজাদি দেখে ও পর্যালোচনা করে আমার জমির দলিল সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের জন্য কোম্পানীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে পাঠান। আমার ক্রয়কৃত জমির অবিকল নকল কপিটি ঠিক আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সাব রেজিষ্ট্রার জামাল উদ্দিন আমার কাগজাদি না দেখেই সেগুলো তার অফিস সহকারী হাবিবুর রহমানের নিকট নিয়ে যেতে বলেন। হাবিবুর রহমান তাদের মহরার বিমল মুদককে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ৮৬৯ ও ৮৭০ নং দলিলটির সাথে আমার হাতে থাকা অবিকল নকল দলিলের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে। বিমল মুদক যাচাই করে আমাকে বলেন, ‘মূল দলিলের সাথে নকলের কিছু পার্থক্য রয়েছে। এটা শুনার পর আমি একবারেই হতভম্ব হয়ে যাই। সাথে সাথে গত ৭ মার্চ আবেদন করে মূল দলিলের অবিকল নকল কপিটি আমি চাই। এ সময় সাব রেজিষ্ট্রার আমাকে সাফ জানিয়ে দেন উক্ত দলিলের অবিকল নকল কপি দেয়া যাবে না। সাব রেজিষ্ট্রারের সাথে সুর মিলিয়ে মহরার বিমল মুদক বলেন, ‘এই নকল দিলে আমাদের চাকরি থাকবে না। তাদের এমন কথাবার্তা ও আচরণে আমার সন্দেহ হয়। আমি ধারণা করছি এবং সন্দেহ করছি দলিলের কোন পাতা পরিবর্তন কিংবা দাতা- গ্রহিতা পরিবর্তন অথবা তপশীল পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া তাদের পরামর্শে সাব রেজিষ্টার জামাল উদ্দিন, অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান এবং মহরার বিমল মুদককে আসামি করে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে একটি মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাব রেজিষ্ট্রার ও জড়িত অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।