বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
সহসা মেরামত হচ্ছে না তাহিরপুর সুনামগঞ্জ ওয়েজখালী সড়কের আনোয়ারপুর-ফতেপুর অংশ। এমনটাই জানালেন সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ সুনামগঞ্জ। তাই যতদিন সড়কটি সংস্কার না হচ্ছে ততদিন এই সড়কপথে চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাত্রী সাধারণ কে পথ চলতে হবে কুড়িয়ে-কুড়িয়ে। বিগত বন্যায় স্থানে-স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া সড়কে দু’এক জায়গায় এখন বাঁশের সাঁকো কোথাও এবরো খেবরু পথ । বন্যার পূর্বে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার আগে এই সড়কে ফতেহপুর পর্যন্ত সিএনজি, অটোরিক্সা লেগুনা ইত্যাদি চলাচল করতো। এখন শুধুমাত্র মোটর সাইকেল চলাচল করছে এই পথে। আর মোটর সাইকেলে চলাচল করতে গিয়ে বিশেষ করে মালামাল পরিবহন থেকে শুরু করে নারী ও শিশু যাত্রীরা পড়ছে নানা বিপাকে।
তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের ওয়েজখালী সড়ক পথের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। ২৩ কিলোমিটার সড়ক পথের মধ্যে গত বন্যায় তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের আনোয়ার পুর বাজার হইতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান বন্যার পানির থোরে ভেঙে যায়। সে সময় থেকে এক দেড় মাস সময় পর্যন্ত এই সড়ক পথটি একেবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পরবর্তীতে সড়ক সংশ্লিষ্ট আশপাশের গ্রাম, আনোয়ার পুর, লোহাচোরা পাতারি, তিওরজালাল, পুরান বারুঙ্কা গ্রামের লোকজন তাদের চলাচলের স্বার্থে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকম যোগাযোগ স্থাপন করে। জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ মাস সময়ের মধ্যেও সড়কপথটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করে। হেমন্তকালে স্থানীয় লোকজন কোন রকম পায়ে হেটে এ সড়কটি ব্যবহার করলেও বর্ষায় কোন ভাবেই এ সড়কটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানান এলাকাবাসী।
উজান তাহিরপুর গ্রামের অটোরিক্সা চালক হীরা মন বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বে তিনি তাহিরপুর থেকে আনোয়ারপুর ও ফতেহপুর পর্যন্ত অটো রিক্সা নিয়ে যেতেন এখন শুধুমাত্র আনোয়ারপুর বাজার পর্যন্ত চলাচল করেন।
আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কান্তি দে বলেন, বন্যায় সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাঁশের সাঁকো তৈরী করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু সাকো পারাপারে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা পড়ে নানা মুখী সমস্যায়।
বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুজ জহুর বলেন তাহিরপুর সুনামগঞ্জ ওয়জেখালী সড়টি মেরামত না করায় চরম বিপাকে পড়েছে জামালগঞ্জ,বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার লোকজন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, সড়কটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ, আমি জেলায় মাসিক উন্বয়ন-সমন্বয় সভায় একাধিকবার বিষয়টি উত্তাপন করেছি।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত এই সড়কে কোন প্রকল্প নেই, ফতেহপুর নদীতে ব্রীজের কাজের প্রকল্পের সঙ্গে এই সড়কের একটি প্রকল্প প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে।