গোলাপগঞ্জে চাঙ্গা হয়ে উঠছে জাসদ, উৎফুল্ল নেতা-কর্মীরা

29

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকার পর আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠছে গোলাপগঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ। এক সময় মাঠ কাঁপানো ও এ উপজেলায় শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশাল কর্মী সমাবেশে করে দলটি জানান দিয়েছে তারা শক্তিশালী। অপরদিকে পুরোনো কমিটি ভেঙ্গে গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। এখন গঠন করা হবে উপজেলার পৌর শাখা থেকে শুরু করে ১১টি ইউনয়ন তথা ৯৯টি ওয়ার্ড কমিটি। এ উপজেলায় জাসদের পুরোনো জুলৌস ফিরিয়ে আনতে চান দলের নেতারা। তারা ঘন ঘন সফর করছেন বিভিন্ন এলাকা। যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের সাথে। খোঁজ-খবর নিচ্ছেন সুখ-দুঃখের। দীর্ঘদিন পর নেতাদের কাছে পেয়ে কর্মী-সমর্থকরাও খুশী।
জানা যায়, এক সময় এ উপজেলা জাসদের ছিল শক্ত অবস্থান। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে থাকতো জাসদ ও এর অঙ্গ সংগঠন। বিভিন্ন দাবি আদায়ে ছাত্রলীগও ছিল সোচ্চার। স্কুল-কলেজে ছিল ছাত্রলীগের শক্ত অবস্থান। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিলে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে জাসদ। বাটা পড়ে দলীয় কার্যক্রমে। দীর্ঘদিন দুর্বল থাকা জাসদ এখন আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সংগঠিত হচ্ছে জাসদ ও অঙ্গ সংগঠন। পুরোনো সব ব্যথা জলাঞ্জলি দিয়ে আবারও সবাই দাঁড়িয়েছেন এক কাতারে। ইতিমধ্যে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা জাসদ বিশাল কর্মী সমাবেশ করেছে। এ সমাবেশে শত শত নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। সমাবেশে জাসদ ছাড়াও যুবজোট, শ্রমিক জোট ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। এ সময় দীর্ঘদিন নিরব থাকায় নেতাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেও দীর্ঘদিন পর নেতাদের কাছে পেয়ে খুশি কর্মী-সমর্থকরা। যেকোন মূল্যে দলের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চান নেতারা। এ প্রসঙ্গে জাসদের (আম্বিয়া-প্রধান) যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শামীম আহমদ বুধবার বলেন, আমরা কোন ভাঙ্গা-গড়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। যেভাবে হউক দলকে আবার সুসংগঠিত করতে হবে। কারণ জাসদ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। তাই এ দেশের খেটে খাওয়া ও মেহনতি মানুষ সহ সকল স্তরের লোকজনদের অকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে দলের প্রতি। নব গঠিত উপজেলা জাসদের সহ-সভাপতি খছরুজ্জামান বলেন, জাসদ এ উপজেলায় অনেক শক্তিশালী ছিল, এখনো আছে। দলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল হোসেন রফি বলেন, আমরা এখন পৌর কমিটি সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নতুন কমিটি কঠন করবো। পর্যাক্রমে উপজেলার ৯৯টি ওয়ার্ডে পুরোনো কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে এনে বিশাল কর্মী সমাবেশ করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে আমাদের। জানা যায়, আগের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠনের পর নেতা-কর্মীরা উৎফুল হয়ে পড়েছে।