কক্সবাজার জেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরীর প্রচেষ্টায় মধুছড়া এলাকায় হযরত শাহজালাল (রহ:) জামে মসজিদ ও লম্বাশিয়া এলাকায় হযরত শাহ পরাণ (রহ:) জামে মসজিদ নামে দু’টি মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জুম্মা ও পাঞ্জেগানা নামাজ, দ্বীনি শিক্ষাসহ মসজিদ ভিত্তিক অন্যান্য কাজগুলো চলছে। হযরত শাহজালাল (রহ:) মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি পল্লীও গড়ে উঠেছে, যে পল্লীতে ৩১০টি তাঁবু ইমাম সমিতির অর্থায়নে করা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস এ পল্লীতে, এদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পানিবাহিত রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করার জন্য ইমাম সমিতি ৫০টি স্যানেটারি টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। নিরাপদ পানির জন্য ৪০টি নলকূপের কাজ চলছে। শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা ও ইসলামি আদর্শ শিক্ষা দানের জন্য মসজিদন ভিত্তিক দুটি ও পৃথক আরো দুটি মক্তব স্থাপন করা হয়েছে। ৪টি মক্তবে প্রায় সাত শতাধিক ছেলেমেয়ে পড়া-লেখা করছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সহ সরকারী-বেসরকারী সংস্থাগুলো ইমাম সমিতির এ কাজ করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
গত ১৪ অক্টোবর শনিবার ইমাম সমিতি মহানগর কার্যালয়ে নির্বাহী বৈঠকে সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব উপরোক্ত তথ্য পেশ করেন। মাওলানা শিহাব আরো বলেন, ইমাম সমিতির আহ্বানে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতা করতে হাত বাড়িয়েছেন, এ জন্য সিলেটবাসীকে ইমাম সমিতির পক্ষ থেকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
১৫ দিনব্যাপী ২টি কাফেলার মাধ্যমে এ কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপস্থিত সদস্যবৃন্দ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রায় সবকটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট কাজ পরিচালনার জন্য আরোও ২টি কাফেলা কক্সবাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি