বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে যুবলীগ নেতা সুরঞ্জিত দাশের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন হচ্ছে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য সুনামগঞ্জের ধিরাই, ছাতক ও বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা ৬টি ডাকাতি মামলার আসামি সুজন আহমদ ওরফে সেবুল (২৮)। সে বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগীগাঁও গ্রামের হাসন খানের ছেলে। অপরজন হচ্ছে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর থানায় পৃথক দ’টি ডাকাতি মামলার আসামি, বালাগঞ্জের নসিয়রপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব উল্লাহর ছেলে আবুল হোসেন রিপন (৩০)। বৃহস্পতিবার রাতে ধিরাই উপজেলা সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সেবুলকে এবং আগেরদিন বুধবার বিকেলে রিপনকে সিলেটের লালাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, প্রথমে সেবুলের চাচাতো ভাই বাবুল খাঁকে তারা (পুলিশ) গ্রেফতার করেন। পরে বাবুলের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ধিরাই থেকে সেবুলকে এবং লালাবাজার থেকে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর রবিবার ভোর রাতে রামাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকার সুরঞ্জিত দাশের কাঁঠলী পাড়ার গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওইদিন ডাকাতদের হামলায় সুরঞ্জিত দাশসহ তার পরিবারের ৫জন আহত হন। ঘটনার একদিন পর ৪অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে সুরঞ্জিত বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২)।