সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্র নগর, চাঁনপুর ও বালিয়াঘাট সীমান্তকে চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাচালানীরা। সোমবার রাত ৯টায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ২২টি গরু আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আটককৃত গরুর মূল্য অনুমান ৬ লক্ষ টাকা।
এলাকাবাসী জানায়, সুনামগঞ্জ বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে হযরত আলী, একই গ্রামের মৃত জামাল মিয়ার ছেলে মঞ্জুল মিয়া, লিটন মিয়া, নজরুল মিয়া ও রতনপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে শাজাহান মিয়া গং প্রতিদিনের মতো গত সোমবার রাত ৯টায় বাগলী এলসি পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে অর্ধশতাধিক গরু পাচার করে ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১৩টি গরু আটক করলেও চোরাচালানীদের কাউকে আটক করেনি। যার ফলে বাকি গরুগুলো নিয়ে চোরাচালানীরা ইঞ্জিনের নৌকা যোগে পালিয়ে যায়। এছাড়া এই সীমান্তের সুন্দরবন, বাগলী ও রন্দুছড়া দিয়ে উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীরা সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ওপেন চুনাপাথর ও কয়লা পাচার করছে। পাচারকৃত প্রতিটি গরু থেকে বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১ হাজার টাকা, থানার নামে ৬ শত টাকা, স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের নামে ৫শত টাকা ও প্রতি নৌকা চুনাপাথর থেকে বিজিবি, পুলিশ, সাংবাদিক, কাস্টমসসহ আরো বিভিন্ন জনের নাম ভাংগিয়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিটন কয়লা থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার ভোররাতে বাগলী, সুন্দরবন ও রন্দুছড়া এলাকা দিয়ে চুনাপাথর পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে ৩ চোরাচালানী গুলিবৃদ্ধ হয়। এ সময় চুনাপাথর বোঝাই ২টি ইঞ্জিনের নৌকা বিএসএফ আটক করে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২টি নৌকা ফেরত নিয়ে আসে বিজিবি।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন ২২টি গরু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।