কে.এম.লিমন, গোয়াইনঘাট থেকে :
বাংলাদেশ এক অপার সৌন্দর্যের দেশ, পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এ দেশের প্রকৃতি ও প্রত্মে। এর মধ্যে অন্যতম সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলায় রয়েছে নয়নাভিরাম কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। যার মধ্যে অন্যতম প্রকৃতিকন্যা জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়ামফরেষ্ট রাতারগুল ও পান্তুমাই জলপ্রভাত। স্রষ্টার সৃষ্টির এমনই আরেক চোখ জুড়ানো নিদর্শন পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের পিয়াইন এর মায়াবী ঝর্ণা। উপজেলা জুড়ে প্রকৃতির এই নিদর্শন থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও অবকাঠামো উন্নয়ন না থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের সীমান্ত জনপথ গোয়াইনঘাটের প্রকৃতিকন্য জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়ামফরেষ্ট রাতারগুল ও পান্তুমাই জলপ্রভাত এবং জাফলংয়ের পিয়াইন এর মায়াবী ঝর্ণা।
অতিতে এ সময় গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রে গুলোতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকলেও বর্তমানে পর্যটকের ভরা মৌসুমে এখানে পর্যটকের আগমন নেই বললেই চলে। কিছু সংখ্যক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসলেও পরতে হচ্ছে নানা রকম বিরম্বনায়। সিলেট তামাবিল মহাসড়কের জাফলংয়ের বল্লাঘাট থেকে জৈন্তাপুর রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। অপরদিকে সালুটিকর- গোয়াইনঘাট সড়ক, গোয়াইনঘাট- বিসনাকান্দি সড়ক ও শারি-গোয়াইন সড়কের এমন বেহাল অবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন না থাকার কারণেই গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন ষ্পটগুলোতে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কুমিল্লা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক সাকির আহমেদ প্রকৃতির এই নিদর্শনের প্রশংসা করে ক্ষোভের সাথে বলেন সড়ক ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন না থাকায় অনেক বিড়ম্ভনায় পরতে হচ্ছে আগত পর্যটকরদের। তাই দ্রুত এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সড়ক সংস্কারসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করে অগত পর্যটকদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া জানান প্রতিবছর এ সময়ে প্রচুর পর্যটক এখানে বেড়াতে আসে এবং আমাদের ব্যবসা অনেক জমজমাট থাকে। সম্প্রতি যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন না থাকার কারনে পর্যটক আসতে পারছে না। পর্যটক না আসায় আমাদের বেচা কেনা নেই। এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমরা বিশ্ব পর্যটন দিবসে সরকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করলে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আবারো পর্যটকের পদভারে মুখর হয়ে উঠবে প্রকৃতিকন্যা জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটগুলো। সেই সাথে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যও জমজমাট হয়ে উঠবে।
জাফলং টুরিষ্ট ক্লাবের সভাপতি লোকমান মিয়া জানান, একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলুপ্তির পথে অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন না থাকার কারণে জাফলংয়ে পর্যটকের আগমন হ্রাস পাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস উপলক্ষে সমস্যায় ঢাকা সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের সৌন্দর্য রক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।